Date: 2025-07-31
আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার , ১৭ জুলাই ২০২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লাজায় দোয়া মাহফিল ও এম.এইচ. খান অডিটরিয়ামে জুলাই গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি শিরোনামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা শহীদদের আত্মত্যাগ, আন্দোলনের তাৎপর্য এবং শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা যে নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের পরিচয় দিয়েছেন, তা দেশের ও বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। এ আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। যুগে যুগে ছাত্র-ছাত্রীরাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। আমরা এই আন্দোলনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম অন্যায়ের প্রতিবাদে। আজ আমরা মন খুলে কথা বলতে পারছি। আমাদেরকে যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। দেশে-বিদেশে সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল হক। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক চেতনায় নতুন জাগরণ সৃষ্টি করেছিল। এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। অন্যায়ের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। যেকোনো ধরনের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে আমিও শিক্ষার্থীদের পাশি আছি। যুগে যুগে শিক্ষার্থীরা অন্যায়ের প্রতিবাদে সোচ্ছার হবে এটাই মানুষ হিসেবে কর্তব্য। আমি শিক্ষার্থীদের সাধুবাদ জানাই।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. মো. গোলাম রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান।
প্রফেসর ড. মো. গোলাম রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা অন্যায়ের প্রতিবাদে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। অনেকেই এই আন্দোলনে আহত হয়েছেন। তাদের সব ধরনের সহায়তা বিশ্ববিদ্যালয় করেছে। এবং ভবিষ্যতেও সহায়তা করবে। কারো যদি সহায়তার দরকার হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় করবে। প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সহায়তা করেছে। সেই সাথে যেকোনো আন্দোলন সফল করার জন্য শিক্ষার্থীর ভূমিকায় মুখ্য। এই শিক্ষার্থীরা সব চেয়ে বড় দেশ প্রেমিক। দেশের সব ক্রান্তিকালে এগিয়ে আসে। আন্দোলনে ভূমিকা রাখে।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ওই সময়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান। তিনি আন্দোলনের স্মৃতি চারণ করেন। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সাফি আহম্মেদ উল্লাহ, আরেফিন ফয়সাল আলভী, তৌহিদ হাসান রিমন ও মোস্তাকিম বিল্লা শ্রেষ্ট আন্দোলনের সময়ের স্মৃতিচারণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই আন্দোলনের ওপর নির্মিত আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি এক আবেগঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. শারমিন রেজা চৌধুরী, ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. শরিফুল ইসলাম, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. আশরাফুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, অফিস প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, কর্মকতা-ও কর্মচারীরা।