Date: 2024-03-28
আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে 'স্বাধীনতা : নতুন প্রাণের বিজয়বার্তা' শীর্ষক আলোচনা সভা এবং ফল-২০২৩ সেমিস্টারের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.এইচ. খান অডিটরিয়ামে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস গবেষক আফসান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ইনচার্জ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. আবু তৈয়ব আবু আহমেদ ও ট্রেজারার (ইনচার্জ) প্রফেসর ড. শারমিন রেজা চৌধুরী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ইনচার্জ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন এবং শিক্ষা জীবনে করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়সমূহ ও নিয়মানুয়ীতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে ভবিষ্যৎ বিশ্বের উপযোগী হিসেবে। নিজেদের সময়কে কাজে লাগিয়ে উন্নত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এতে সমাজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের কল্যান সাধিত হবে। সেই সাথে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আফসান চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তেব্যে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের সময়কে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি এই মহান মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষের অবদান তুলে ধরেন। গ্রামের সাধরণ নারী-পুরুষ কিভাবে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখেন তা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির প্রত্যাশা ১৯৭১ বা ১৯৪৭ বললে ভুল হবে, এটা শুরু হয় ইংরেজদের আমল থেকেই।
প্রফেসর ড. আবু তৈয়ব আবু আহমেদ বলেন, নিজেদেরকে মানবীয় গুনাবলির অধিকারী হতে হবে এবং সেই সাথে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন। তিনি সেই সময়ে জাপানে উচ্চ শিক্ষায় থাকাকালীন তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন এবং শিক্ষার্থীদের একাডেমিক বই পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার আহ্বান করেন।
প্রফেসর ড. শারমিন রেজা চৌধুরী বলেন, তোমাদের এই প্রতিষ্ঠানে কাছ থেকে ভালো বিষয়গুলো অর্জন করতে হবে। এখানে উন্নত মানের শিক্ষার পরিবেশ আছে। তেমনি রয়েছে দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী তাদের কাছে থেকে তোমরা সুশিক্ষাগ্রহণ করে জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করে তোমরা দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিজনেস অ্যান্ড স্যোশাল সায়েন্স ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর ড. সালেহ মো. মাশহেদুল ইসলাম, নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিয়ামুল রাহি, মোছা. আফছানা মিম, মো. ফাহিম হোসেন চৌধুরী, ফারজান রহমান, নাজমুল ইসলাম নাদিম, আজিজা আলী গুনগুন, তাসমিয়া তাবাসুম ফাইজা ও ইফতেখার হাসিব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর ড. মো. মাহমুদুর রহমান, আইকিউএসির ডিরেক্টর প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার মোর্শেদ, রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) প্রফেসর ড. মো. হামিদুর রহমান খান, ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান, বিভাগীয় প্রধানগণ, অফিস প্রধানগণ, লাইব্রেরিয়ান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।